আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে স্কুল ছাত্রীকে গনধর্ষণ

বন্দর প্রতিনিধি:
মেয়েটি শহরের একটি স্কুলের ১০ শ্রেনীর ছাত্রি। তার সাথে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বন্দর থানার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের চিতাশাল এরাকার মনির মিয়ার ছেলে মোমিন (২১)। বুধবার ওই ছাত্রিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে নাসিক ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের চিতাশালের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও ৪ জন বন্ধুকে নিয়ে ওই ছাত্রিকে ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিক। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার মূল হোতা মোমিন, একই এলাকার জাকির হাসান মিয়ার ছেলে রনি হাসান (২৪) ও মৃত বশির মিয়ার ছেলে আমিন (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জন সহ অজ্ঞাত আরও ২ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার বরাতে জানা গেছে, শহরের একটি পুরনো স্কুলের ১০ শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে বন্দর চিতাশাল এলাকার মনির মিয়ার ছেলে মোমিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় লম্পট মোমিন তার প্রেমিকা স্কুলছাত্রীকে দেখা করার জন্য মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। পরে লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার দুই বন্ধু ওই দিন রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে পালাক্রমে গ্রেপ্তারকৃত ৩ নরপশুসহ ৫ জন ধর্ষন করে। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে ছেড়ে দেয় তারা।

এ ব্যাপারে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. রফিকুল ইসলাম গনধর্ষনের ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান, ৫ জনের মধ্যে মূলহোতা লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার ২ বন্ধুকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। অপর দুইজনকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, কম বয়সী মেয়েদের বিশেষ করে স্কুল ছাত্রিদের মোবাইল ফোনে নানা ছলচাতুরি কথা বলে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে একশ্রেনীর বখাটে যুবক। সচেতন মহলের মতে, বাবা মায়ের সঠিক তদারকি না থাকায় এ ধরনের কাজ করতে সহজ হয় বখাটেদের। এ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।